করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ওই পোস্টে তিনি আরো জানান, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও করোনার টিকা পাবেন। এর আগে শনিবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপান থেকে আসা উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এনআইডি না থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে বলে জানান।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, বয়স্করা যদি শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড নিয়েও টিকাদান কেন্দ্রে আসেন, তারপরও তাদের টিকা দেওয়া হবে। কারণ করোনাভাইরাসে বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। তাই এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
দেশে প্রথম ৫৫ বছরের ওপরে সবার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল এ বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে। পরে তা নামিয়ে আনা হয় ৪০ বছরে। চলতি মাসের শুরুতে ওই বয়সসীমা আরো কমিয়ে নামানো হয় ৩৫ বছরে, এরপর নামে ৩০ বছরে। বৃহস্পতিবার তা নামিয়ে ২৫ বছর করা হয়। সবাইকে টিকার আওতায় আনতে ধারাবাহিকভাবে বয়সসীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, ‘সুরক্ষা অ্যাপটা ম্যানেজ করে আইসিটি বিভাগ। আমরা তাদের বলেছি বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার জন্য। এটা তারা ধাপে ধাপে করছে। একবারে ১৮ বছর পর্যন্ত করে দিলে তাদের ওপর চাপ পড়বে। এজন্য ধীরে ধীরে বয়সসীমা কমাচ্ছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।